Description
হাসান রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু খেলাফতের দায়ভার মু’আবিয়া রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহুর কাছে হস্তান্তর করার সময় হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু মদীনায় ছিলেন। উমাইয়া খেলাফতের সাথে দ্বান্দ্বিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান তিনি। তাঁকে মদীনায় অপমানের শিকার হতে হয়। মদীনার গভর্নর মারওয়ান বিন আল হাকাম এবং আল ওয়ালিদ বিন উতবা বিন আবি সুফইয়ান তাঁকে নানাভাবে হয়রানি ও অপমান করতে থাকে। অথচ মু’আবিয়া রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু তাঁকে অত্যন্ত সম্মান করতেন ও প্রায়শই বিভিন্ন উপহার সামগ্রী পাঠাতেন। এই অপমান চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে যখন ইয়াজিদকে বা’ইয়াত দেওয়া হয়। মারওয়ান আদেশ দেয় হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহুকে অবশ্যই ইয়াজিদকে বা’ইয়াত দিতে হবে। নয়তো তাঁকে হত্যা করা হবে। হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু মক্কায় পালিয়ে আসেন। কয়েক মাস তিনি সেখানেই অবস্থান করেন।
সে সময় ইরাকের কুফা থেকে চিঠি পান তিনি। কুফাবাসী সেখানে তাঁর উপস্থিতি কামনা করে। ইমাম সিদ্ধান্ত নেন সেখানে যাবার। তাঁর এই সিদ্ধান্ত ছিল যৌক্তিক। একই মত ছিল ইবনুল জুবায়ের রাদ্বিআল্লাহ ‘আনহুরও। মক্কায় ইমাম আসার পরই তিনি (ইবনুল জুবায়ের) এই মত দিয়েছিলেন যে ইমামের উচিত কুফায় চলে যাওয়া। কেননা কুফার লোকেরা তাঁর খেয়াল রাখতে পারবে। প্রায়ই এটা বলা হয়ে থাকে যে, বিপুল সংখ্যক সাহাবা নাকি ইমাম হুসাইনকে কুফায় যাবার ব্যাপারে সতর্ক করেন। এসব কথাবার্তা এসেছে হাদীস জালিয়াতদের কাছ থেকে। কেবলমাত্র ইবনে ‘আব্বাস রাদ্বিআল্লাহ ‘আনহুই এরকম সতর্ক করেছিলেন। হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহু জবাব দিয়েছিলেন, “কোন একজনের জন্য হারাম শরীফ অরাজকতায় ছেয়ে যাবে এমন কোন ব্যক্তি হওয়া থেকে এই ভূমি থেকে বহুদূরের কোন ভূমিতে নিহত হওয়াই আমার জন্য শ্রেয়”।
Reviews
There are no reviews yet.