Description
বিয়ে সংক্রান্ত কতিপয় বাস্তব অভিজ্ঞতা
সাহাবা ও তাবেয়িদের অনুগামী এক তালিবে ইলম ও আল্লাহর পথের দায়ির কথা আমি জানি। তার তিনটি কন্যা ছিল। যখনই কোনো নেককার যুবক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, তিনি তার হাতে মেয়েকে তুলে দিয়েছেন। তিন মেয়ের সবাইকে তিনি পনেরো বছরে পা রাখার আগেই বিয়ে দিয়েছেন।
–
এ বছরই দুই যুবক মাধ্যমিক স্তরে পড়াকালীন বিয়ে করে ফেলেছে। ফলে তাদের আচার-আচরণ ও আদব-আখলাক অনেক মার্জিত ও উন্নত হয়েছে। তাদের পড়ালেখার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। জনৈক শিক্ষক তো ক্লাসে একবার বলেই ফেললেন, ‘যারা পড়ালেখায় ভালো করতে চায়, তারা যেন ওদের মতো বিয়ে করে নেয়।’ ইরাকে অনেক পরিবারে ছেলেমেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী তাদের কেউ কেউ চল্লিশের কোঠায় পা রাখার আগেই দাদা হয়ে যায়।
–
অবশেষে আমি জীবনের হিসাব মেলাতে শুরু করলাম। আমার সেই চাচাতো বোন এখন চার সন্তানের মা। তার স্বামী পরিপাটি শান্তশিষ্ট এক ভদ্র লোক, চেহারায় তার কল্যাণের দীপ্তি। পরম সুখে কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন।
জীবনের এ পর্যায়ে এসে আমি দিব্যি উপলব্ধি করতে পারছি, আব্বু আমার ব্যাপারে কত বড় অন্যায় করেছেন! কীভাবে তিনি আমাকে পাপের পথে ঠেলে দিয়েছেন!! বিয়ে করে সবার মতো আমিও পবিত্র ও নিষ্কলুষ জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই সুযোগটি কেড়ে নিলেন। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আমি তাকেই অপরাধী সাব্যস্ত করব।
আব্বু, আল্লাহ আপনার চেহারাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই বাণীটির প্রতি একটু লক্ষ করুন,
كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ
‘তোমাদের সকলেই দায়িত্বশীল এবং সবাই আপন আপন অধীনস্তদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।’
আব্বু, আমার দায়িত্ব আপনার ওপর ন্যস্ত ছিল। আমি ভয় পাচ্ছি, দায়িত্বে অবহেলার কারণে আপনি শাস্তির মুখোমুখী হবেন।
Reviews
There are no reviews yet.